রুদ্রচণ্ড
নিশ্চয় তোমার কথা রাখিবেন পিতা!
বলিবে?
চাঁদ কবি।     বলিব বোন! ও কথা থাকুক্‌!—
সে দিন যে গান তোরে দেছিনু শিখায়ে,
সে গানটি ধীরে ধীরে গা’ দেখি অমিয়া!
গান
রাগিণী— মিশ্র ললিত
অমিয়া।    বসন্তপ্রভাতে এক মালতীর ফুল
       প্রথম মেলিল আঁখি তার,
       চাহিয়া দেখিল চারি ধার।
সৌন্দর্য্যের বিন্দু সেই মালতীর চোখে
       সহসা জগৎ প্রকাশিল,
       প্রভাত সহসা বিভাসিল
       বসন্তলাবণ্যে সাজি গো—
       একি হর্ষ— হর্ষ আজি গো!
উষারাণী দাঁড়াইয়া শিয়রে তাহার
       দেখিছে ফুলের ঘুম-ভাঙা,
       হরষে কপোল তাঁর রাঙা!
কুসুমভগিনীগণ চারি দিক হতে
       আগ্রহে রয়েছে তারা চেয়ে,
কখন ফুটিবে চোখ ছোট বোনটির
       জাগিবে সে কাননের মেয়ে।
       আকাশ সুনীল আজি কিবা,
       অরুণনয়নে হাস্যবিভা,
       বিমল শিশিরধৌত তনু
       হাসিছে কুসুমরাজি গো—
       একি হর্ষ— হর্ষ আজি গো!

 

মধুকর গান গেয়ে বলে,
‘মধু কই, মধু দাও দাও!’
হরষে হৃদয় ফেটে গিয়ে