ভগ্নহৃদয়
ভাবিব, সত্যই হবে      বনদেবী আসি তবে
অধিষ্ঠান হইলেন কবির নয়ানে!
চপলা।      বলো দেখি মোরে, কবি গো, হ’ল কি
    তোমাদের দু-জনার?
সখীরে আমার কি গুণ করেছ
    বলো দেখি একবার!
সখীর আমার খেলাধূলা নেই,
সারাদিন বসি থাকে বিজনেই—
জানি না ত, কবি, এত দিন আছি
    কিসের ভাবনা তার!
ছেলেবেলা হতে তোমরা দুজনে
    বাড়িয়াছ এক সাথে,
আপনার মনে ভ্রমিতে দুজনে
    ধরি ধরি হাতে হাতে!
তখন না জানি কি মন্ত্র, কবি গো,
    দিলে মুরলার কানে!
কি মায়া না জানি দিয়েছিলে পড়ি
    সখীর তরুণ প্রাণে!
বেলা হোয়ে এল সজনি এখন,
করিয়াছে পান প্রভাতকিরণ
ফুলবধূটির অধর হইতে
    প্রতি শিশিরের কণা।
তুই থাক্‌, হেথা, আমি যাই ফিরে,
অমনি ডাকিয়া ল’ব মালতীরে—
একেলা তো, বালা, অত ফুলমালা
    গাঁথিবারে পারিব না!
[প্রস্থান
কবি।      মুরলা, তোমার কেন ভাবনার ভাব হেন?
কতবার শুধায়েছি বলো নি আমারে!
লুকায়ো না কোন কথা,     যদি কোন থাকে ব্যথা
রুধিয়া রেখো না তাহা হৃদয়মাঝারে!
হয়ত হৃদয়ে তব কিসের যাতনা