ভগ্নহৃদয়
    বন্ধুত্বে কি দোষ আছে?
যদি সারাদিন রহিয়া তোমার
    প্রাণের রূপসী-সাথে
কোনো সন্ধ্যাবেলা মুহূর্তের তরে
    অবকাশ পাও হাতে,
আমাদের যেন পড়ে গো স্মরণে—
    এসো একবার তবে!
দু-চারিটা গান গাব সবে মিলি
    দু-চারিটা কথা হবে!
অশোক। [স্বগত] পাষাণে বাঁধিয়া মন মনে করি যতবার
কাছে তার যাবনাকো মুখ দেখিব না আর,
তার মুখ হতে তিল আঁখি ফিরায়েছি যবে—
দূরে যেতে এক পদ শুধু বাড়ায়েছি সবে,
অমনি সে কাছে ঢ’লে   দু একটি কথা ব’লে
পাষাণ প্রতিজ্ঞা মোর ধূলিসাৎ করিয়াছে!
শুধু দুটি কথা ব’লে, একবার এসে কাছে!
জানি না কি শুধু সে গো মন ভোলাবার কথা?
হে হাসি— সে মিষ্ট হাসি— নিদারুণ কপটতা?
জানে জানে সব জানে— তবু মন নাহি মানে,
প্রতিবার ঘুরে ফিরে তবুও সে যায় তথা।
জেনে শুনে তবু তার ভালো লাগে কপটতা,
সেই মিষ্টি হাসি, সেই মন ভুলাবার কথা!
যবে ভুলাবার তরে কপট আদর করে,
মোর মুখপানে চেয়ে গাহে প্রণয়ের গীত,
সাধ করে মন যেন হতে চায় প্রতারিত!
হা হৃদয়! লঘু, নীচ, হীন— হীন অতি—
খেলেনার ’পরে তোর এতই আরতি?
কখনো না— কখনো না— হোক যা হবার,
এই যে ফিরানু মুখ ফিরিব না আর!
ধিক্‌— ধিক্‌— শিশু-হৃদি! ধিক্‌ ধিক্‌ তোরে—
লজ্জার পাথারে আর ডুবাস্‌ নে মোরে!
কপট রমণী এক, অধম, চপল,