ভগ্নহৃদয়
তারে তুমি জান না কি?এমন মধুর মুখভাব তায়?
এমন মধুর আঁখি!
এত রাশি রাশি খেলাইছে হাসি
হৃদয়ের নিরালায়—
নয়ন অধর ভাসাইয়া দিয়া
উথলি পড়িয়া যায়!
যে দিকে সে চায় হাসিময় চোখে
হাসি উঠে চারি ধার,
যে দিকে সে যায়— আঁধার মুছিয়া
চলে জ্যোতি-ছায়া তার!
তার সে-নয়ন-নিঝর হইতে
হাসি সুধারাশি ঝরি,
এই হৃদয়ের আকাশ পাতাল
রেখেছে জোছনা করি!
মুরলা। [স্বগত] দেবি গো করুণাময়ী,
কোথা পাই ঠাঁই মা গো— কোথা গিয়ে কাঁদি!
দুর্বল এ মন দে মা পাষাণেতে বাঁধি!
[প্রকাশ্যে] আহা, কবি, তাই হোক্— সুখে তুমি থাক।
এ নব প্রণয়ে মন পূর্ণ করে রাখ!
নয়নের জল তব কিছুতে মোছে নি,
হৃদয়-অভাব তব কিছুতে ঘোচে নি—
আজ, কবি, ভালোবেসে সুখী যদি হও শেষে,
আজ যদি থামে তব নয়নের ধার,
দেবতা গো, তাই করো! চিরজন্ম সুখী করো
কবিরে আমার, বাল্য-সখারে আমার!
কবি। মুছ অশ্রুজল, সখি, কেঁদো না অমন—
যে হাসির কিরণেতে পূর্ণ হল মন
একেলা বিজনে বসি কবিরে তোমার
কাঁদিতে দেখিতে, সখি, হবেনাক আর!
আজ হতে মিলাবে না হাসি এ অধরে,
বিষণ্ন হবে না মুখ মুহূর্তের তরে।
আয় সখি, আয় তবে, কাছে আয় মোর—