ভগ্নহৃদয়
    চড়িয়া পাষাণরথে
চাকায় দলিয়া চলিবারে চায়
     হৃদয়বিছানো পথে!
শুনেছি সে নাকি একটি একটি
    হৃদয় গনিয়া রাখে—
কি কুখনে, আহা, কবি আমাদের
    ভালো বাসিয়াছে তাকে!
মুরলা।     চপলা, চপলা, পায়ে ধরি তোর,
    ক’স্‌ নে অমন করে।
তুই লো বালিকা হৃদয় তাহার
    চিনিবি কেমন করে?
চপলা।     কে জানে, সজনি, বুঝিতে পারি নে
    কেন যে হইল হেন—
তাহারে হেরিলে মুখ ফিরাইতে
    সাধ যায় মোর যেন?
সেদিন যখন দেখিনু নলিনী
    বসিয়া কবির-সাথে,
সরমের বেশে লাজহীন হাসি
    খেলিছে আঁখির পাতে,
দেখিনু কপোল ঢাকিয়া তাহার
    অলক পড়েছে ঝুলি,
আঁচলেতে গাঁঠ বাঁধি শতবার
    শতবার ফেলে খুলি,
কে জানে আমার ভালো না লাগিল
    চলে এনু ত্বরা করে—
কপট সরম দেখিলে, সজনি,
    সরমেতে যাই ম’রে!
মুরলা আমার, অমন করিয়া
    কেন লো রহিলি বসি!
দেখিতে দেখিতে মলিন হইয়া
    এসেছে ও মুখশশী!
ভাবিস্‌ নে, সখি, কমলা কয়েছে