ভগ্নহৃদয়
কিন্তু তাহে কিছুতেই তৃপ্ত নহে প্রাণ!
দুজনার মাঝে কেন এত ব্যবধান?
যেমন নিজের কাছে লাজ নাহি থাকে
তেমনিই মনে কেন করে না আমাকে?
কিছুই গো হল না!
সেই-সব, সেই-সব— সেই হাহাকাররব
সেই অশ্রুবারিধারা হৃদয়বেদনা!
ললিতার প্রবেশ
ললিতা। কেন গো বিষণ্ন হেরি নাথের বদন?
না জেনে কি দোষ কিছু করেছি এমন?
একবার কাছে গিয়ে ধরি দুটি হাত
শুধাব কি— “হয়েছে কী? অবোধ ললিতা সে কি
না বুঝে হৃদয়ে তব দিয়েছে আঘাত?”
সেদিন ত শুধালেন নাথ যবে আসি
“একবার বল্ তো রে ভালো কি বাসিস মোরে?”
মুক্তকণ্ঠে বলেছিনু ‘নাথ, ভালোবাসি!’
একেবারে সব লজ্জা দিনু বিসর্জন,
বুকে তাঁর মুখ রেখে করেছি রোদন—
কাঁদিয়ে কহেছি কথা, জানায়েছি সব ব্যথা
যত কথা রুদ্ধ ছিল মরমতলেতে,
এত দিন বলি বলি পারি নি বলিতে!
সেদিন তো কোন লজ্জা ছিল নাকো আর,
কিন্তু গো আবার কেন উদিল আবার!
হেথায় দাঁড়ায়ে আমি রহি এক ধারে—
এখনি দেখিতে নাথ পাবেন আমারে!
ডাকিলেই কাছে গিয়ে সব লজ্জা বিসর্জিয়ে
একেবারে পায়ে ধরে কেঁদে গিয়ে কব,
“বলো, নাথ, কী করেছি? কী হয়েছে তব?”
অনিল। এমন বিষণ্ন হয়ে বসে আছি হেথা
তবুও সে দূরে আছে— তবু সে এল না কাছে,