ভগ্নহৃদয়
বাহিরে যাবে না তার স্বর!
সে কুঞ্জেতে অতি মৃদু মানিক ফুটাবে শুধু
বাহিরের মধ্যাহ্নের কর।
নিভৃত নিকুঞ্জছায় হেলিয়া ফুলের গায়
শুনিয়া পাখির মৃদু গান
লতার-হৃদয়ে-হারা সুখে-অচেতন-পারা
ঘুমায়ে কাটায়ে দিবি প্রাণ!
তাই বলি, বসন্তের বায়,
হৃদয়ের লতাকুঞ্জে আয়!
অতৃপ্ত মনের আশ লুটিয়া সুখের রাশ,
কেন রে করিস্ হায় হায়!
ত্রয়োবিংশ সর্গ
কবি
মুরলা কোথায়?
সে বালা কোথায় গেল? কোথায়? কোথায়?
সন্ধ্যা হয়ে এল ওই, কিন্তু রে মুরলা কই?
খুঁজে খুঁজে ভ্রমি তারে হেথায় হোথায়?
সে মোর সন্ধ্যার দীপ, কোথা গেল বল্!
একটি আঁধার ঘরে একাকী সে জ্বলিত রে
সন্ধ্যার দীপের মত বিষণ্ন উজ্জ্বল।
সন্ধ্যা হ’লে ধীরে ধীরে আসিতাম ঘরে ফিরে
শ্রান্ত পদক্ষেপে অতি মৃদু গান গেয়ে,
সুদূর প্রান্তর হয়ে দেখিতাম চেয়ে—
মোর সে বিজন ঘরে শূন্য বাতায়ন- ’পরে
একটি সন্ধ্যার দীপ আলো করে আছে—
আমারি— আমারি তরে পথ চেয়ে আছে—
আমারেই স্নেহভরে ডাকিতেছে কাছে।
হা মুরলা, কোথা গেলি, মুরলা আমার?
ওই দেখ্ ক্রমশই বাড়িছে আঁধার?