কাহিনী

করেছিনু বীরপদে। যবন ব্রাহ্মণ

সে ভেদ কাহার ভেদ? ধর্মের সে নয়।

অন্তরের অন্তর্যামী যেথা জেগে রয়

সেথায় সমান দোঁহে। মাঝে মাঝে তবু

সংস্কার উঠিত জাগি ; কোনোদিন কভু

নিগূঢ় ঘৃণার বেগ শিরায় অধীর

হানিত বিদ্যুৎ কম্প, অবাধ্য শরীর

সংকোচে কুঞ্চিত হত — কিন্তু তারো পরে

সতীত্ব হয়েছে জয়ী। পূর্ণ ভক্তিভরে

করেছি পতির পূজা ; হয়েছি যবনী

পবিত্র অন্তরে ; নহি পতিতা রমণী —

পরিতাপে অপমানে অবনতশিরে

মোর পতিধর্ম হতে নাহি যাব ফিরে

ধর্মান্তরে অপরাধীসম। — একি! একি!

নিশীথের উল্কাসম এ কাহারে দেখি

ছুটে আসে মুক্তকেশে!

 

রমাবাইয়ের প্রবেশ

জননী আমার!

কখনো যে দেখা হবে এ জনমে আর

হেন ভাবি নাই মনে। মা গো, মা জননী,

দেহ তব পদধূলি।

রমাবাই।                         ছুঁস নে যবনী

পাতকিনী!

অমাবাই।                    কোনো পাপ নেই মোর দেহে —

নির্মল তোমারি মতো।

রমাবাই।                             যবনের গেহে

কার কাছে সমর্পিলি ধর্ম আপনার?

অমাবাই।    পতি-কাছে।

রমাবাই।                পতি! ম্লেচ্ছ, পতি সে তোমার!

জানিস কাহারে বলে পতি! নষ্টমতি,

ভ্রষ্টাচার! রমণীর সে যে এক গতি,