প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
করেছিনু বীরপদে। যবন ব্রাহ্মণ
সে ভেদ কাহার ভেদ? ধর্মের সে নয়।
অন্তরের অন্তর্যামী যেথা জেগে রয়
সেথায় সমান দোঁহে। মাঝে মাঝে তবু
সংস্কার উঠিত জাগি ; কোনোদিন কভু
নিগূঢ় ঘৃণার বেগ শিরায় অধীর
হানিত বিদ্যুৎ কম্প, অবাধ্য শরীর
সংকোচে কুঞ্চিত হত — কিন্তু তারো পরে
সতীত্ব হয়েছে জয়ী। পূর্ণ ভক্তিভরে
করেছি পতির পূজা ; হয়েছি যবনী
পবিত্র অন্তরে ; নহি পতিতা রমণী —
পরিতাপে অপমানে অবনতশিরে
মোর পতিধর্ম হতে নাহি যাব ফিরে
ধর্মান্তরে অপরাধীসম। — একি! একি!
নিশীথের উল্কাসম এ কাহারে দেখি
ছুটে আসে মুক্তকেশে!
রমাবাইয়ের প্রবেশ
জননী আমার!
কখনো যে দেখা হবে এ জনমে আর
হেন ভাবি নাই মনে। মা গো, মা জননী,
দেহ তব পদধূলি।
রমাবাই। ছুঁস নে যবনী
পাতকিনী!
অমাবাই। কোনো পাপ নেই মোর দেহে —
নির্মল তোমারি মতো।
রমাবাই। যবনের গেহে
কার কাছে সমর্পিলি ধর্ম আপনার?
অমাবাই। পতি-কাছে।
রমাবাই। পতি! ম্লেচ্ছ, পতি সে তোমার!
জানিস কাহারে বলে পতি! নষ্টমতি,
ভ্রষ্টাচার! রমণীর সে যে এক গতি,