রাজা ও রানী

    সুমিত্রা। শংকর, বারেক তুই মনে করে দেখ্‌

সেই ছেলেবেলা। দুটি ছোটো ভাইবোনে

কোলে বেঁধে রেখেছিলি এক স্নেহপাশে।

তার চেয়ে বেশি হল খ্যাতি ও অখ্যাতি?

প্রাণের সম্পর্ক এ যে চিরজীবনের —

পিতা-মাতা-বিধাতার-আশীর্বাদে-ঘেরা

পুণ্য স্নেহতীর্থখানি। বাহির হইতে

হিংসানলশিখা আনি এ কল্যাণ-ভূমি,

শংকর, করিতে চাস অঙ্গারমলিন!

    শংকর। চল্‌ দিদি, চল্‌ ভাই ফিরে চলে যাই

সেই শান্তিসুধাস্নিগ্ধ বাল্যকাল-মাঝে।


চতুর্থ দৃশ্য
বিক্রমদেবের শিবির
বিক্রমদেব, যুধাজিৎ ও জয়সেন

বিক্রমদেব। পলাতক অরাতিরে আক্রমণ করা

নহে ক্ষাত্রধর্ম।

  যুধাজিৎ।                  পলাতক অপরাধী

সহজে নিষ্কৃতি পায় যদি, রাজদণ্ড

ব্যর্থ হয় তবে।

বিক্রমদেব।                      বালক সে, শাস্তি তার

যথেষ্ট হয়েছে। পলায়ন, অপমান,

আর শাস্তি কিবা?

  যুধাজিৎ।                      গিরিরুদ্ধ কাশ্মীরের

বাহিরে পড়িয়া রবে যত অপমান।

সেথায় সে যুবরাজ, কে জানিবে তার

কলঙ্কের কথা?

  জয়সেন।                      চলো মহারাজ, চলো

সেই কাশ্মীরের মাঝে যাই,— সেথা গিয়ে

দোষীরে শাসন করে আসি, সিংহাসনে

দিয়ে আসি কলঙ্কের ছাপ।