সন্ধ্যাসংগীত

কভু কভু দুয়েকটি ভাঙা-ভাঙা সুর

অতি মৃদু পশিতেছে শ্রবণবিবরে ;

আধো জেগে আধো ঘুমে স্বপ্ন আধো-ভোলা —

তেমনি কি সে-দিনের দুয়েকটি কথা

সহসা মনের মধ্যে উঠে না জাগিয়া?

স্মৃতির নির্ঝর হতে অলক্ষ্যে গোপনে,

পথহারা দুয়েকটি অশ্রুবারিধারা

সহসা পড়ে না ঝরি নেত্রপ্রান্ত হতে,

পড়িছে কি না পড়িছে পার না জানিতে!

একাকী বিজনে কভু অন্য মনে যবে

বসে থাকি, কত কী যে আইসে ভাবনা,

সহসা মুহূর্ত-পরে লভিয়া চেতন

কী কথা ভাবিতেছিনু নাহি পড়ে মনে

অথচ মনের মধ্যে বিষণ্ন কী ভাব

কেমন আঁধার করি রহে যেন চাপি,

হৃদয়ের সেই ভাবে কখনো কি সখি

সে-দিনের কোনো ছায়া পড়ে না স্মরণে?

ছেলেবেলাকার কোনো বন্ধুর মরণ

স্মরিলে যেমন লাগে হৃদয়ে আঘাত,

তেমনি কি সখি কভু মনে নাহি হয়

সে-সকল দিন কেন গেল গো চলিয়া

যে দিন এ-জন্মে আর আসিবে না ফিরি!

পুরাতন বন্ধু তারা, কত কাল আহা

খেলা করিয়াছি মোরা তাহাদের সাথে,

কত সুখে হাসিয়াছি দুঃখে কাঁদিয়াছি,

সে-সকল সুখ দুঃখ হাসি কান্না লয়ে

মিশাইয়া গেল তারা আঁধার অতীতে!

 

চলিনু দামিনী পুনঃ চলিনু বিদেশে —

ভাবিলাম একবার দেখিব মুখানি,

একবার শুনাইব মরমের ব্যথা,

তাই আসিয়াছি সখি, এ জনমে আর