ভগ্নহৃদয়
তোরা খেলা কর্— তোরা খেলা কর্
    কামিনী-কুসুমগুলি!
কভু পাতা-মাঝে লুকা রে মুখ,
কভু বায়ু-কাছে খুলে দে বুক—
মাথা নাড়ি নাড়ি নাচ্‌ কভু নাচ্‌
    বায়ু-কোলে দুলি দুলি!
দু-দণ্ড বাঁচিবি— খেলা’ তবে খেলা’,
প্রতি নিমেষেই ফুরাইছে বেলা,
বসন্তের কোলে খেলা-শ্রান্ত প্রাণ
    ত্যেজিবি ভাবনা ভুলি!
অশোক।     [দূর হইতে দেখিয়া]
ওই যে হোথায় নলিনী রয়েছে
    বসি বিজয়ের সাথে!
কত কাছাকাছি!— কত পাশাপাশি!
    হাত রাখি তার হাতে!
অসার হৃদয়, লঘু, হীন মন
    কোন গুণ নাই যার—
শুধু ধন দেখে বিকাবি, নলিনী,
    তারে দেহ আপনার?
কতবার, প্রেম,   যাস্‌ পলাইয়া
    ভয়ে ফুলডোর দেখি—
ধনের সোনার শিকল হেরিয়া
    আজ ধরা দিলি একি?
সুরেশ।     খুঁজিয়া খুঁজিয়া পাই না দেখিতে
    নলিনী কোথায় আছে।
ওই যে হোথায় লতাকুঞ্জতলে
    বসিয়া বিজয়-কাছে!
কি ভয় হৃদয়! জানি গো নিশ্চয়
    সে আমারে ভালোবাসে,
মন তার আছে আমারি কাছেতে
    থাকুক সে যার পাশে!
বিনোদ।     কথা শুনে তার— ভাব দেখে তার