ভগ্নহৃদয়
হাতখানি রাখ্ মোর হাতের উপর,
শ্রান্ত যদি হোস্ মোর কাঁধে দিস্ ভর।
দেখিস্, বাধে না যেন চরণ লতায়—
আঁচল না ছিঁড়ে যায় গাছের কাঁটায়!
চমকি উঠিলি কেন? কিছু নাই ভয়—
বাতাসের শব্দ শুধু, আর কিছু নয়!
এই দিকে পথ, বালা, এই দিকে আয়—
বাম পাশে বিপাশার স্রোত বহে যায়।
শ্রান্তি কি হতেছে বোধ? লজ্জা কেন প্রিয়ে?
বেষ্টন কর না মোর স্কন্ধ বাহু দিয়ে!
কিসের তরাস এত— ও কি বালা, ও কি?
ঝরিয়া পড়েছে শুধু শুষ্ক পত্র সখি!
ওই গেল গেল চাঁদ, ওই ডোবে ডোবে—
একটু জোছনারেখা এখনো যেতেছে দেখা,
আর নাই— আর নাই— ওই গেল ডুবে!
অষ্টম সর্গ
মুরলা ও চপলা
চপলা। দেখ্, সখি মোর, সত্য কহি তোরে
প্রাণে বড়ো ব্যথা বাজে—
চপলার কেহ সখী নাই হেথা
এত বালিকার মাঝে!
তোদের ও মুখ হেরিলে মলিন
হৃদয় কাঁদিয়া উঠে,
আকুল হইয়া শুধাবার তরে
তাড়াতাড়ি আসি ছুটে।
শতবার করে শুধাই তোদের,
কথা না কহিস্ তবু—
ভাবিস চপলা অবোধ বালিকা
কিছু সে বুঝে না কভু!
চোখের জলের কাহিনী বুঝে না,