ভগ্নহৃদয়
    চাহিস নে তার পানে!
বিনোদ।      একটি কথাও কহিল না মোরে,
    পাশ দিয়া গেল চলি!
গর্বভারগুরু প্রতি পদক্ষেপে
    মরমে মরমে দলি।
কেন গো, কেন গো; কি আমি করেছি—
    কিছু তো না পড়ে মনে!
কহেছে তো কথা প্রমোদের সাথে,
    অশোক নীরদ-সনে!
গেল হে হৃদয়— কত দিন আর
    রবে সে এমন করি
কখনো উঠিয়া আকাশের ’পরে
    কখনো পাতালে পড়ি!
অনিল।     [দূর হইতে দেখিয়া]
না জানি কিসের জ্যোতি নয়নে আছে গো বালা!
যে দিকে চাহিয়া দেখ সে দিক করিছ আলা।
অন্ধকারভেদী এক হাসিময় তারা-সম
প্রাণের ভিতর-পানে চাহিয়া মম!
ফিরায়ে লইনু মুখ, তবুও কেন গো দেখি
চাহিছে হৃদয়-পানে দুটি হাসিমাখা আঁখি!
আঁখি মুদি, তবু কেন হেরি গো প্রাণের কাছে
দুটি আঁখি চেয়ে আছে      এক দৃষ্টে চেয়ে আছে!
হেথা না পাইবি ঠাঁই— দূর হ তুই রে তারা—
চন্দ্রমা জোছনা করি     এ হৃদি রেখেছে ভরি,
তুই তারা সে আলোকে হইবি আপনাহারা!
দূর হ রে— দূর হ রে— দূর হ রে ক্ষুদ্র তারা!
কিন্তু কি মধুর মুখ ভাবভরে ঢলঢল!
কোমলকুসুমসম সমীরণে টলমল!
দেখি নি এহেন মুখ সুমধুর ভাবময়!
কেন? ললিতার মুখ এ হতে কি ভালো নয়?
আহা সে মধুর বড়ো ললিতার মুখখানি—
আঁখি কত কথা কয়, মুখেতে নাইক বাণী,