ভগ্নহৃদয়
কেন রে এমন কেন হল আজ মন?
দিয়েছি তো, পেয়েছি তো ভালোবাসা-ধন!
তুই কাছে আয় দেখি, আর একবার,
মুখ তোর রাখ্ দেখি বুকেতে আমার!
দেখি তাহে এ হৃদয় শান্তি পায় যদি!
কে জানে উচ্ছ্বসি কেন উঠিতেছে হৃদি!
দেখি তোর মুখখানি সখি, তোর মুখখানি—
বুকে তোর মুখ চাপি—কেন, সখি, কেন
সহসা উচ্ছ্বসি কাঁদি উঠিলি রে হেন?
যেন বহুক্ষণ হতে যুঝিয়া যুঝিয়া
আর পারিল না, হৃদি গেল গো ভাঙ্গিয়া!
কী হয়েছে বল্ মোরে, বল্, সখি, বল্—
লুকাস্ নে, লুকাস্ নে দুখ-অশ্রুজল!
পৃথিবীতে কেহ যদি নাহি থাকে তোর
এই হেথা এই আছে এই বক্ষ মোর!
এ আশ্রয় চিরকাল রহিবে তোমার,
এ আশ্রয় কখনোই হারাবি নে আর!
কাঁদিবি যখন চাস্ হেথা মুখ ঢাকি,
তোর সাথে বরষিবে অশ্রু মোর আঁখি!
মুরলা। তুমি সুখী হও, কবি, এই আমি চাই—
তুমি সুখী হলে মোর কোন দুঃখ নাই!
কবি। আমি সুখী নই সখি, সুখী কেবা আর?
বল্ দেখি মুরলা লো কি দুঃখ আমার!
অমন নলিনী মোর হৃদয়ের ধন
সে আমার— সে আমার কাছে গো যখন,
পেয়েছি যখন আমি তার ভালোবাসা,
তখন আমার আর কিসের বা আশা?
পেয়েছি যখন আমি তোর মত সখী—
দুখে মোর দুখ পায়, সুখে মোর সুখী—
তবে বল্ দেখি, সখি, কি দুঃখ আমার?
তবে যে উঠেছে মনে বিষাদ-আঁধার
শরতের মেঘসম দু-দণ্ডে মিলাবে,